Pages

Showing posts with label রমাদান বা রোজা. Show all posts
Showing posts with label রমাদান বা রোজা. Show all posts

তারাবীর নামাযের রাকাত সংখ্যা

প্রশ্ন : তারাবীর (তারাবি) নামায কি ১১ রাকাত, নাকি ২০ রাকাত? সুন্নাহ অনুযায়ী তো তারাবীর নামায ১১ রাকাত । শাইখ আলবানী রহিমাহুল্লাহ “আলক্বিয়াম ওয়াত তারাউয়ীহ” বইতে বলেছেন তারাবী নামায ১১ রাকাত। এখন কিছু মানুষ সেসব মসজিদে নামায পড়েন যেখানে ১১ রাকাত তারাবী পড়া হয়। আবার কিছু মানুষ সেসব মসজিদে নামায পড়েন যেখানে ২০ রাকাত তারাবী পড়া হয়। এখানে যুক্তরাষ্ট্রে এটি একটি সংবেদনশীল মাসয়ালা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যিনি ১১ রাকাত তারাবী পড়েন তিনি ২০ রাকাত সালাত আদায়কারীকে ভৎর্সনা করেন। আবার যিনি ২০ রাকাত তারাবী পড়েন তিনি ১১ রাকাত সালাত আদায়কারীকে ভৎর্সনা করেন। এটা নিয়ে একটা ফিতনা (গোলযোগ) সৃষ্টি হয়েছে। এমনকি মসজিদে হারামেও ২০ রাকাত তারাবী পড়া হয়। তাহলে মসজিদে হারাম ও মসজিদে নববীতে সুন্নাহর বিপরীত আমল হচ্ছে কেন? কেন তাঁরা মসজিদে হারাম ও মসজিদে নববীতে ২০ রাকাত তারাবী নামায আদায় করেন?
.
উত্তর: আলেমদের ইজতিহাদনির্ভর মাসয়ালাগুলো নিয়ে কোন মুসলিমের সংবেদনশীল আচরণ করাকে আমরা সমীচীন মনে করি না। যে আচরণের কারণে মুসলমানদের মাঝে বিভেদ ও ফিতনা সৃষ্টি হয়।

শাইখ ইবনে উছাইমীন রহিমাহুল্লাহকে এমন ব্যক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হয় যিনি ইমামের সাথে ১০ রাকাত তারাবী নামায পড়ে বিতিরের নামাযের অপেক্ষায় বসে থাকেন, ইমামের সাথে অবশিষ্ট তারাবী নামায পড়েন না, তখন তিনি বলেন:

নামজ না পড়ে শুধু রোজা রাখলে তা কবুল হবে কি ?

নামাজ না পড়ে শুধু রোজা রাখলে তা কবুল হবে কি ?

উত্তরঃ অনেকেই নামাজ আদায় করে না। কিন্তু রমজান মাস আসলে ঠিকই রোজা পালন করে থাকে। এখন প্রশ্ন হলো যারা নামাজ না পড়ে শুধু রোজা পালন করে, তাদের রোজা কবুল হবে কিন। চলুন বুখারী শরীফ এবং মুসলীম শরীফের আলোকে জেনে নিই।

বুরাইদা (রাঃ) হতে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন:

প্রশ্ন: রোজা ভাংগার বিভিন্ন কারনগুলো কি কি বা কোন কাজগুলো করলে রোজা ভেংগে যায় ?

প্রশ্ন: রোজা ভাংগার বিভিন্ন কারনগুলো কি কি বা কোন কাজগুলো করলে রোজা ভেংগে যায় ?

উত্তর: কোরআন ও হাদিস অনুযায়ী সব মিলিয়ে ১০ টি কাজ করলে আমাদের রোজা ভেংগে যায়।
এইগুলা কি দুইটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা যায়।
প্রথম ক্যাটাগরি হচ্ছে যে, সে কাজগুলো যেখানে আমরা শরিরের ভিতর কিছু প্রবেশ করাচ্ছি। এইগুলার মধ্যে মোট চারটি কাজ আছে। তা হল:
১) পানাহার করা
২)এমন কোন কাজ যেগুলা পানাহারের পর্যায়ে পরে যায়।
৩) ঔষধ খাওয়া,পিল খাওয়া,ইনজেকশন নেয়া যেগুলা পুষ্টি গ্রহনের মত করে নেয়া হয় অর্থাৎ যেগুলার সাথে পানাহারের মিল আছে। এর ভিতর স্যালাইন নেওয়া ও আছে।
৪) এইটা অনেকটা কিডনি ডায়ালায়সের মত। যেখানে রক্ত বের করা হয়, রক্ত বিশুদ্ধ করা হয়, কিছু পুষ্টি উপাদান দিয়ে আবার শরিরের ভিতর প্রবেশ করানো হয়।
দ্বিতীয় ক্যাটাগরি হচ্ছে যেগুলা শরির থেকে বের হয়ে যায়। এখানে মোট ছয়টি কাজ আছে।তা হল:
১)সহবাস করা
২)হস্তমৈথন করা
৩)রজঃস্রাব
৪)শরিরের কোথাও রক্তপাত( প্রচুর পরিমানে রক্ত বের হওয়া)
৫) ইচ্ছে করে বমি করা
৬)শরির থেকে রক্ত বের করা। যেমন ইনজেকশনের মাধ্যমে, বা এইধরনের কিছু দিয়ে!
সবমিলিয়ে এই দশটি কাজের কারনে আমাদের রোজা ভেংগে যেতে পারে।

প্রশ্নঃ রোযা অবস্থায় কি মহিলারা খাবার জিহ্বায় চেখে দেখতে পারবে ?

প্রশ্নঃ রোযা অবস্থায় কি মহিলারা খাবার জিহ্বায় চেখে দেখতে পারবে ?

উত্তরঃ ডাঃ জাকির নায়েকঃ

কোনো ব্যক্তি যে রান্না করে, হোক সে পুরুষ কিংবা নারী তার সম্পর্কে হাদীসের নির্দেশনা হলো যা আমরা সহীহ আল-বুখারীর ৩য় খণ্ডের কিতাবুস সিয়াম এর ২৫ নং হাদীস হতে জানতে পারি যে,

হযরত আব্বাস (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, “খাবারের কোন অংশ জিহ্বায় দিয়ে দেখলে তাতে রোযা ভঙ্গ হবে না।”

হাদীসটি সহীহ বুখারীতে মুআল্লাক। এছাড়াও হাদীসটি বায়হাকি সহীহ ইবনে সায়বা ও অন্যান্য হাদীসে সহীহ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।

ইবনু আব্বাস (রা.) আরো বলেন, রোযার স্বাদ ও লবণ চেখে দেখা রোযার জন্য উত্তম। এ হাদীস প্রমাণ করে যে, খাবারের স্বাদ ও লবণ চেখে দেখা জায়েয কিন্তু সতর্ক থাকতে হবে যেন খাবার গলার মধ্যে প্রবেশ না করে এবং খাবার গিলে ফেলা না হয়।

ইবনু আব্বাস আরো বলেন, এটা কেবল প্রয়োজন হলেই জায়েয। অন্যথায় করা যাবে না।

যেমন, ইমাম ইবনু হাম্বল প্রয়োজন না হলে খাবার চেখে দেখাকে মাকরূহ [অপছন্দনীয়] বলেছেন। ইবনু তাইমিয়াহও অপ্রয়োজনে খাবার চেখে দেখাকে মাকরূহ [অপছন্দনীয়] বলেছেন।

যদি কোন রাধুণী মনে করে যে, খাবারের লবণাক্ত বা মিষ্টতা চেখে দেখা দরকার তাহলে সে সামান্য পরিমাণ খাবার তার জিহ্বায় ওপর দিয়ে টেস্ট করবে এবং তা সাথে সাথে ফেলে দিবে। এমনটা করা জায়েয। তবে তা অবশ্যই গিলবে না। তাহলে তার রোযা ভঙ্গ হবে না।

এমন যদি হয় যে, কোনো মা তার সন্তানকে খাবার খাওয়ানোর সময় তার সন্তানের খাবার চিবিয়ে না দিলে সন্তান খেতে পারে না তাহলে ঐ মা খাবার চিবিয়ে দিতে পারবে, তবে অবশ্যই সে খাবার গিলে ফেলা চলবে না। এটাতে তার রোযা ভাঙ্গবে না।

প্রয়োজনে খাবারের স্বাদ চেখে দেখা জায়েয। কিন্তু ক্ষুধার কারণে বা অপ্রয়োজনে খাবার চেখে দেখা মাকরূহ। এর অর্থ এতে রোযা ভাঙ্গবে না কিন্তু এমনটা করা নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। রোযা অবস্থায় প্রয়োজনে খাবার চেখে দেখা জায়েয, তবে সতর্ক থাকতে হবে যেন তা গিলে ফেলা না হয়।