Pages

অক্টোবর মাসের প্রশ্নোত্তর

প্রশ্ন : বিতরের কুনূতে হাত উত্তোলন করা যাবে কি?

-সুলতান, মীরের চক, রাজশাহী।
উত্তর : যাবে। হযরত ওমর, আব্দুল্লাহ ইবনে মাস‘ঊদ, আনাস, আবু হুরায়রা (রাঃ) প্রমুখ ছাহাবী থেকে কুনূতে বুক বরাবর হাত উঠিয়ে দো‘আ করা প্রমাণিত আছে। মুহাদ্দিছগণ এর দ্বারা কুনূতে বিতর বুঝেছেন (বায়হাক্বী ২/২১১-১২, মির‘আত ৪/৩০০; তুহফাতুল আহওয়াযী ২/৫৬৭, ইরওয়াউল গালীল ২/১৮১)। তাবেঈ বিদ্বান আব্দুল্লাহ বিন মুবারক বিতর ছালাতে হাত উঠাতেন এবং দো‘আ করতেন (বায়হাকী, আস-সুনানুল কুবরা হা/৩১৫২)।
ইবরাহীম নাখঈ বিতরের কুনূতে হাত উঠিয়ে দো‘আ করতেন (মুছান্নাফ আব্দুর রাযযাক্ব হা/৫০০১)। ইমাম আহমাদকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হ’লে তিনি বলেন, কুনূতে নাযেলার উপর ক্বিয়াস করে কুনূতে রাতেবাতেও হাত উঠিয়ে দো‘আ করা যায় (মারওয়াযী, মুখতাছার কিয়ামুল লায়ল ১/৩১৮)। শায়খ বিন বায বলেন, বিতরের কুনূতে হাত উত্তোলন করা শরী‘আত সম্মত। কেননা তা কুনূতে নাযেলার মতই (মাজমূ‘ ফাতাওয়া ৩০/৫১) উছায়মীন বলেন, ওমর (রাঃ) হ’তে ছহীহ সূত্রে বিতরের ছালাতে হাত উঠানোর বর্ণনা রয়েছে (মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৪/৮১)। ইমাম আবু ইউসুফ (রহঃ) বলেন, বিতরের কুনূতের সময় দু’হাতের তালু আসমানের দিকে বুক বরাবর উঁচু থাকবে। ইমাম ত্বাহাবী ও ইমাম কারখীও এটাকে পসন্দ করেছেন (মির‘আত ২/২১৯; ঐ, ৪/৩০০ পৃঃ)

প্রশ্ন: বেকার স্বামীর জন্য স্ত্রীর উপার্জন থেকে পরিবার পরিচালনার যাবতীয় ব্যয় করা জায়েয হবে কি?

-আবু হানীফ, বাগাতিপাড়া, নাটোর।
উত্তর : স্ত্রীর সম্মতি থাকলে জায়েয হবে। স্ত্রী স্বামীর সংসারে খরচ করলে দ্বিগুণ নেকী পাবেন। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, ‘মিসকীনকে ছাদাক্বা দিলে একটি ছাদাক্বা হয়। কিন্তু সে যদি রক্ত সম্পর্কীয় নিকটাত্মীয় হয়, তবে নেকী দ্বিগুণ হয়। এক-ছাদাক্বা এবং দুই-আত্মীয়তা (আহমাদ, তিরমিযী, মিশকাত হা/১৯৩৯)। যয়নব (রাঃ) স্বীয় স্বামী আব্দুল্লাহ বিন মাসঊদ (রাঃ)-কে যাকাতের অর্থ দিতে চাইলে রাসূল (ছাঃ) তাকে অনুমতি দিয়ে বলেন, এতে দ্বিগুণ নেকী রয়েছে। (১) ছাদাক্বার নেকী (২) আত্মীয়তা সম্পর্ক বজায় রাখার নেকী’ (বুখারী হা/১৪৬৬; মুসলিম হা/১০০০; মিশকাত হা/১৯৩৪-৩৫)

প্রশ্ন : জনৈক আলেম বলেন, আলেমদের সাথে তর্ক- বিতর্ক করলে জাহান্নামে যেতে হবে। একথার সত্যতা আছে কি?

-লোকমান, খিলক্ষেত, ঢাকা।
উত্তর : উক্ত বক্তব্য সঠিক নয়। তবে হাদীছে এভাবে বর্ণিত হয়েছে, রাসূল (ছাঃ) এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি ইলম শিখে এজন্য যে, তার দ্বারা সে আলেমদের সাথে বিতর্ক করবে ও মূর্খদের সঙ্গে ঝগড়া করবে কিংবা মানুষকে তার দিকে আকৃষ্ট করবে, আল্লাহ তাকে জাহান্নামে প্রবেশ করাবেন (তিরমিযী হা/৩১৩৮, মিশকাত হা/২২৫)। আর প্রয়োজনে শারঈ বিষয়ে দলীলের ভিত্তিতে শালীনতা বজায় রেখে তর্ক-বিতর্ক করা যায়। আল্লাহ বলেন, ‘তাদের সাথে বিতর্ক কর উত্তম পন্থায়’ (নাহল ১৬/১২৫)

No comments:

Post a Comment