Pages

তাওহীদ কাকে বলে? উহা কত প্রকার ও কি কি?


তাওহীদ শব্দটি (وحد) ক্রিয়ামূল থেকে উৎপত্তি হয়েছে। এর আভিধানিক অর্থ কোন জিনিসকে একক হিসাবে নির্ধারণ করা। ‘না’ বাচক ও ‘হ্যাঁ’ বাচক উক্তি ব্যতীত এটির  বাস্তবায়ন হওয়া সম্ভব নয়। অর্থাৎ একককৃত বস্ত ব্যতীত অন্য বস্ত হতে কোন বিধানকে অস্বীকার করে একককৃত বস্তর জন্য তা সাব্যস্ত করা।
উদাহরণ স্বরূপ আমরা বলব, “আল্লাহ ছাড়া সত্য কোন মা’বূদ নেই” একথার সাক্ষ্য দেয়া ব্যতীত কোন ব্যক্তির তাওহীদ পূর্ণ হবে না। যে ব্যক্তি এই সাক্ষ্য প্রদান করবে, সে আল্লাহ ছাড়া অন্যান্য সকল বস্ত হতে উলুহিয়্যাতকে (ইবাদত) অস্বীকার করে শুধুমাত্র আল্লাহর জন্য তা সাব্যস্ত করবে। কারণ শুধুমাত্র নাফী বা ‘না’ বাচক বাক্যের মাধ্যমে কোন বস্তকে গুণাগুণ থেকে মুক্ত করা হয়।

প্রশ্নঃ ফেরাউনের ধ্বংসের পর মূসা আঃ কি সমাজ ও দেশ শাসন করেছিলেন ?

উত্তরঃ ফেরাউন ও তার অনুসারীদেন ধ্বংসের পর সে ভুখন্ডের পূর্ব ও পশ্চিম অঞ্চলে মূসা আঃ শাসন করেছেন। মূসা আঃ এর পর তার ভাই হারুন আঃ শাসন করেছেন। এ ব্যাপারে সূরা আরাফে আল্লাহ বলেন,

অক্টোবর মাসের প্রশ্নোত্তর

প্রশ্ন : বিতরের কুনূতে হাত উত্তোলন করা যাবে কি?

-সুলতান, মীরের চক, রাজশাহী।
উত্তর : যাবে। হযরত ওমর, আব্দুল্লাহ ইবনে মাস‘ঊদ, আনাস, আবু হুরায়রা (রাঃ) প্রমুখ ছাহাবী থেকে কুনূতে বুক বরাবর হাত উঠিয়ে দো‘আ করা প্রমাণিত আছে। মুহাদ্দিছগণ এর দ্বারা কুনূতে বিতর বুঝেছেন (বায়হাক্বী ২/২১১-১২, মির‘আত ৪/৩০০; তুহফাতুল আহওয়াযী ২/৫৬৭, ইরওয়াউল গালীল ২/১৮১)। তাবেঈ বিদ্বান আব্দুল্লাহ বিন মুবারক বিতর ছালাতে হাত উঠাতেন এবং দো‘আ করতেন (বায়হাকী, আস-সুনানুল কুবরা হা/৩১৫২)।
ইবরাহীম নাখঈ বিতরের কুনূতে হাত উঠিয়ে দো‘আ করতেন (মুছান্নাফ আব্দুর রাযযাক্ব হা/৫০০১)। ইমাম আহমাদকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হ’লে তিনি বলেন, কুনূতে নাযেলার উপর ক্বিয়াস করে কুনূতে রাতেবাতেও হাত উঠিয়ে দো‘আ করা যায় (মারওয়াযী, মুখতাছার কিয়ামুল লায়ল ১/৩১৮)। শায়খ বিন বায বলেন, বিতরের কুনূতে হাত উত্তোলন করা শরী‘আত সম্মত। কেননা তা কুনূতে নাযেলার মতই (মাজমূ‘ ফাতাওয়া ৩০/৫১)

প্রশ্নঃ অমুসলিমদেরকে সালাম প্রদানের বিধান কি? যদি সালাম প্রদান না করা যায়, তবে তাদের সাথে সাক্ষাতের সময় কি বলা উচিত?

উত্তরঃ অমুসলিমদেরকে সালাম দেওয়া যাবে না। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা ইহূদী ও নাছারাদেরকে প্রথমে সালাম দিবে না’ (মুসলিম, মিশকাত হা/৪৬৩৫)। তবে যদি তারা সালাম দেয় তবে শুধু ‘ওয়াআলাইকুম’(আপনার উপরেও) বলে উত্তর দিতে হবে (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৪৬৩৭)।
সাধারণভাবে অমুসলিমদের প্রতি শিষ্টাচার মূলক সম্ভাষণ করা যাবে। যেমন ‘আদাব’ অর্থাৎ ‘আমি আপনার প্রতি শিষ্টাচার প্রদর্শন করছি’। কিন্তু ইসলামী আক্বীদা ও আমল বিরোধী কিছু বলা বা করা যাবে না। যেমন কোন হিন্দুকে ‘নমস্কার’ বলা যাবে না। কেননা এর অর্থ ‘আমি আপনার সামনে মাথা ঝুঁকাচ্ছি। আপনি কবুল করুন’। অমনিভাবে ‘নমস্তে’ বলা যাবে না। কেননা এর অর্থ ‘আমি আপনার সামনে ঝুঁকছি’।

সেপ্টেম্বর মাসের প্রশ্নোত্তর

প্রশ্ন: কুরআনে বর্ণিতউসওয়াতুন হাসানাহবলতে কি বুঝায়?
-আবু সাঈদ খান, ঢাকা
উত্তর : উক্ত বাক্য দ্বারা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর সামগ্রিক জীবনাদর্শকে বুঝানো হয়েছে।
আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ্র রাসূলের মধ্যে তোমাদের জন্য উত্তম আদর্শ নিহিত রয়েছে, যে ব্যক্তি আল্লাহ শেষ দিবসকে কামনা করে অধিকহারে আল্লাহকে স্মরণ করে(আহযাব ৩৩/২১) ইবনু কাছীর (রহঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ)-এর বাণী, কর্ম তাঁর সামগ্রিক অবস্থাকে অনুসরণ করার জন্য এই আয়াতটি একটি বড় ভিত্তি (ইবনু কাছীর, আয়াতের তাফসীর দ্রঃ /৩৯১) কারণ রাসূল (ছাঃ)-এর সামগ্রিক জীবনকে অনুসরণ করলে কুরআনকেই অনুসরণ করা হবে। আয়েশা (রাঃ)-কে তাঁর চরিত্র সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা লে তিনি বলেন, তাঁর চরিত্র ছিল কুরআন।

প্রশ্নঃ দাফনের সময় কোনো মাসনূন দুআ আছে কিনা?

উত্তরঃ গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নটি করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। নিচে আপনার এবিষয়ে কিছুটা আলোকপাত করা হল।আশা করি আপনি তাতে আপনার উত্তর খুঁজে পাবেন । ইনশাল্লাহ। 
জী¡ হা, দাফনের সময় মাসনূন দোয়া আছে । যনিি কবরে মৃত ব্যাক্তকিে কবরে নামাবনে তনিি নামানোর সময় নম্নিরে দোয়াটি পাঠ করবনে। হাদীসএেসছেে রাসূল সাঃ যখন কোন ব্যাক্তকিে কবরে রাখতনে তখন তনিি এই দোয়াটি পাঠ করতনে।
عن نافع عن ابن عمر : أن النبي صلى الله عليه و سلم كان إذا أدخل الميت القبر قال مرة بسم الله وبالله وعلى ملة رسول الله وقال مرة بسم الله وبالله وعلى سنة رسول الله صلى الله عليه و سلم
তরিমযিী রহঃ এই সনদে হাদীসটকিে হাসান গরীব বলছেনে এবং শায়খে আলবানী রহঃ সহীহ বলছেনে। সুনানে তরিমযিী, ৩/৩৬৪,তাহকীক, আহমাদ শাকরে এবং আলবানী।
 

আগোস্ট মাসের প্রশ্নোত্তর


প্রশ্ন  : আমি নওমুসলিম হিসাবে অমুসলিম পিতা-মাতা, ভাই-বোনের সাথে সম্পর্ক রাখতে পারব কি? তাদের সাথে বসবাস ও তাদের রান্না করা খাবার খাওয়া যাবে কি?
-স্মৃতি, ঢাকা।
[(আরবীতে সুন্দর নাম রাখুন (স.স.)]
উত্তর : অমুসলিম পিতা-মাতা, ভাই-বোনের সাথে সম্পর্ক রাখতে হবে। আল্লাহ তা‘আলা পিতা-মাতার সাথে সর্বাবস্থায় সদাচরণ করার নির্দেশ দিয়েছেন (লোকমান ৩১/১৫)। রাসূল (ছাঃ) আসমা (রাঃ)-কে তার অমুসলিম মায়ের সাথে সদাচরণের নির্দেশ দিয়েছিলেন (বুখারী হা/৩১৮৩, মুসলিম, মিশকাত হা/৪৯১৩) এছাড়া আবু হুরায়রা (রাঃ) তার মুশরিক মাতার সাথেই বসবাস করতেন (মুসলিম হা/২৪৯১, মিশকাত হা/৫৮৯৫ ‘মু‘জেযাহ’ অনুচ্ছেদ)। তাদের রান্না করা খাবার খেতেও কোন বাধা নেই। কেননা রাসূল (ছাঃ) ইহূদী ও মুশরিক মহিলার বাড়ীতে খেয়েছেন ও পান করেছেন (বুখারী হা/৩৪৪, মিশকাত হা/৫৮৮৪, ৫৯৩১)। তবে তাদের যবেহকৃত প্রাণীর গোশত খাওয়া যাবে না (বাক্বারাহ ২/১৭৩; মায়েদাহ ৫/৩)। আর ভাই-বোনের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে। একদা রাসূল (ছাঃ)-এর নিকটে একটি কারুকার্য খচিত রেশম মিশ্রিত পোষাক আসলে তিনি তা ওমর (রাঃ)-কে প্রদান করলে তিনি তা মক্কায় অবস্থানকারী তার মুশরিক ভাইয়ের পরিধানের জন্য পাঠিয়ে দেন (বুখারী হা/৫৯৮১)

প্রশ্ন : আমি রফতানী প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (বেপজা) -এ চাকুরী করি। এখানে সব কাজ ঠিকাদারের মাধ্যমে করানো হয়। কাজ দেওয়ার সময় ঠিকাদার আমাকে প্রতিদান স্বরূপ কিছু হাদিয়া দিতে চায়। এটা গ্রহণ করা যাবে কি?